তোমাকে বললাম, তোমার বয়স যা-ই হোক, সেটা আমার জানার দরকার নেই। শুধু তুমি আপনার বয়সের প্রথম অঙ্কটিকে (ডিজিট), অর্থাৎ দশকের ঘরের অঙ্কটিকে ৫ দিয়ে গুণ করুন। এই গুণফলের সঙ্গে ৩ যোগ করুন। সংখ্যাটি যদি বড় হয়ে যায়, ক্যালকুলেটর ব্যবহার করুন। এবার পুরো সংখ্যাটিকে ২ দিয়ে গুণ করুন। এর সঙ্গে যোগ করুন আপনার বয়সের দ্বিতীয় অঙ্কটি, অর্থাৎ এককের ঘরের অঙ্কটি। মোট সংখ্যাটি থেকে বিয়োগ করুন ৬।
ব্যস, তুমি তোমার বয়স বের করে ফেললে! কী, মিলেছে কি না? দেখুন, পাটিগণিতের যোগ- বিয়োগ-গুণ-ভাগ দিয়ে কী সুন্দর তোমার বয়স বের করে দিলাম।
একটা উদাহরণ দিয়ে হিসাবটা আবার মিলাই। ধরা যাক, আপনার বয়স ২৭। তাহলে প্রথম অঙ্ক, ২-কে ৫ দিয়ে গুণ করলে হবে, ২ × ৫ = ১০। এর সঙ্গে ৩ যোগ করুন। যোগফল হলো, ১০ + ৩ = ১৩।
পরবর্তী ধাপে যোগফলকে দ্বিগুণ করুন। এখন সংখ্যাটি দাঁড়াল ১৩ × ২ = ২৬। মনে আছে নিশ্চয়ই যে তোমার বয়সের দ্বিতীয় অঙ্কটি হলো ৭। এই অঙ্কটি এবার যোগ করুন ২৬-এর সঙ্গে। হলো ২৬ + ৭ = ৩৩। এখন বিয়োগ করুন ৬।
উত্তর : ৩৩ – ৬ = ২৭, তোমার বয়স! যদি তোমার বয়স ১০-এর কম হয়, অর্থাৎ এক অঙ্কের হয়, তাহলে বয়সের প্রথম অঙ্কটি ধরতে হবে ০।
যেমন বয়স ৭ হলে সেটা ধরে নেব ০৭। প্রথম অঙ্কটি ০ ও দ্বিতীয় অঙ্কটি ৭। বয়স যদি ১০০ বা তার চেয়েও বেশি হয়, তাহলে প্রথম দুটি অঙ্কের সংখ্যাটিকে ধরতে হবে প্রথম অঙ্ক ও শেষ অঙ্কটি হবে দ্বিতীয় অঙ্ক। যেমন বয়স ১০৩ হলে প্রথম অঙ্ক ধরতে হবে ১০ ও দ্বিতীয় অঙ্ক ৩। অন্য হিসাব আগের মতোই হবে।
না বুঝলে কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ।